বগুড়ার নন্দীগ্রামে মহাসড়কে থামিয়ে রাখা ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। একই সময়ে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় রুহুল আমিন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীও গুরুতর আহত হন।
আজ বুধবার লাবে ১১টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাসের হেলপার বাবু মিয়া (২৩)। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল এলাকার আসাদুর রহমানের ছেলে। আপরজন (যাত্রী) মাহবুবুর রহমান তালুকদার (৩৮)। তিনি আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার ডালপট্রি এলাকার আসাব উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া থেকে নাটোরগামী সিয়াম পরিবহনের দ্রুত গতির বাস (ঢাকা মেট্রো ব: ১৪-৮১০৬) মহাসড়কের পাশে থামিয়ে রাখা ট্রাকের পেছনে (বগুড়া ট: ১১-২২৬০) ধাক্কা দেয়। বাসের গেটে দাঁড়ানো হেলপারের শরীর থেকে মাথা এবং হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাসের এক পাশ ভেঙে মুচড়ে গিয়ে ৮-৯ জন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি প্রায় ১শ’ গজ দূরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে একজন আরোহী আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, ফিলিং স্টেশন এলাকায় দিনে ও রাতে মহাসড়কের পাশেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক থামিয়ে রেখে চালকরা বাড়িতে চলে যান। থামিয়ে রাখা ট্রাকের পেছনে চলন্ত বাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ জানান, শরীর থেকে মাথা এবং হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় নিহত হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যাত্রী মারা গেছেন।